সাপের বিষ নষ্ট করার তদবীর
১নং-
কাউকে সাপে দংশন করলে ইয়া আহাদু ইয়া ওয়াহেদু এই দুই পবিত্র নাম মিলিয়ে ১০১ বার পাঠ করে দংশিত স্থানে মুখের লালা দিলে আল্লাহর ফজলে বিষের ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যাবে।
২নং-
যেখানে সাপে দংশন করেছে, সেখানে নিম্নলিখিত আয়াত পাঠ করে সাতবার দম করবে। খোদার রহমতে বিষ নষ্ট হয়ে যাবে।
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
خُذْهَا وَلَا تَخَفْ- سَنُعِيْدُهَا سِيْرَتَهَا الْاُوْلٰى
উচ্চারণঃ খুযহা, ওয়া-লা তাখাফ, সানুয়ীদুহা সীরাতাহাল উলা।
৩নং-
নিম্নলিখিত নকশাটি মেশক জাফরান কালি দ্বারা কাগজে লিখে ইক্ষু রসের ভিতরে ভরে গুলি বানায়ে সাপে কাটা রুগীকে সেবন করায়ে দিবে। আল্লাহর রহমতে বিষ নষ্ট হয়ে যাবে।
٧٨٦
و |
ح |
هو |
و |
ه |
اب |
و |
مسك |
اوء |
اب |
حمق |
لو |
ح ح ت |
عرم |
من |
مرك |
ঘন অন্ধকার রাতে সাপ ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী হতে রক্ষার তদবীর
ঘন অন্ধকার রাতে সাপ ও অন্যান্য হিংস্র প্রাণী হতে রক্ষার জন্য পড়বে
سَلَامٌ عَلَىٰ نُوحٍ فِي الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ সালামুন আ‘লা নূহিন ফিল আ‘লামীন। (সূরাঃ আস্ সাফ্ফাত, আয়াত- ৭৯)
তদ্রুপ সাপে দংশন করলে এই আয়াত পড়ে থুথু লাগাবে।
সাপ, কুকুর বা শিং মাছ দংশন করলেঃ
১নং-
চল্লিশ বার الله الصمد আয়াতটি কাসার থালায় পড়ে সাপ, কুকুর বা শিং মাছের দংশিত রোগীর পিঠে লাগালে বিষ থাকাকালিন তা পড়বে না। বিষ নষ্ট হবার সাথে সাথে নীচে পড়ে যাবে।
২নং-
উপরোক্ত আয়াত বিসমিল্লাসহ ৭ বার পাঠ করে সমপরিমাণ পানি ও গুড়ের উপর দম করবে। অতঃপর তা মিশ্রিত করে দংশিত ব্যক্তিকে খাওয়াবে।
বিচ্চুর বিষ নষ্ট করাঃ
কিছু ইক্ষুগুড় নিয়ে নিচের দোয়া পড়ে দম করে ঐ গুড় বা গুড়ের শরবদ দংশিত রোগীকে খাওয়াবে।
قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الصِّحَّةِ مِنْ كُلِّ شَرٍّ كُلِّ عَقْرَبٍ وَّحَيَّةٍ اِنَّهُمْ يَكِيْدُوْنَ كَيْدًاَ – وَاَكِيْدُ كَيْدًا – فَمَهِّلِ الْكَافِرِيْنَ اَمْهِلْهُمْ رُوَيْدَا-
উচ্চারণঃ ক্বুল আয়ুজু বি-রাব্বিস সিহ্হাতি মিন কুল্লি সাররিন কুল্লি আকরাবিও ওয়া হাইয়াতিন ইন্নাহুম ইয়াকিদুনা কাইদাও ওয়া আকিদু কাইদান ফামাহহিলিল কাফিরিনা আমহিলহুম রুয়াইদা।
শিং মাছ বা টেংরা মাছের কাটার আঘাত পেলেঃ
এক খণ্ড নিউজ প্রিন্ট কাগজে তিন বার বিসমিল্লাহ সহ
وَاِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِيْن-
বলে দম করবে। অতঃপর তা দংশিত স্থানে লাগিয়ে দিবে। ইনশাআল্লাহ বিষের জ্বালা উপশম হবে।
যে কোন বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া নষ্ট করার তদবীরঃ
১নং-
الله الصمد (আল্লাহুস সামাদ) পবিত্র নাম কাঁশার থালায় ৪০ বার পড়ে ফুঁক দিবে। অতঃপর তা দংশিত ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিবে। তখন থানা শরীরে চুম্বুকের মত লেগে থাকবে। বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে গেলে থালা খোলে পড়ে যাবে। এটা পরীক্ষিত আমল।
২নং-
নিম্নের আয়াতটি দংশিত ক্ষতস্থানে আঙ্গুলি ঘুরাতে ঘুরাতে এক শ্বাসে ৭ বার পাঠ করে ফুঁক দিবে। এরূপে কয়েকবার করবে। ইনশাআল্লাহ বিষ যতই মারাত্মক হউক তা পানি হয়ে যাবে।
وَاِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِيْنَ-
সাপের আক্রমন হতে নিরাপদে থাকার তদবীর
রাস্তায় বা ঘরে সাপ আছে বলে সন্দেহ হলে রাস্তা চলার সময় এবং ঘরে প্রবেশের পূর্বে নিম্নলিখিত আয়াত পাঠ করলে মহান আল্লাহ পাকের মেহেরবাণীতে নিরাপদে থাকা যায়।
وَاِذَا بَطَشْتُمْ بَطَشْتُمْ جَبَّارِيْنَ-
সাপ ও কুকুরের চোখ মুখ বন্ধ করার তদবীর
নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করে এক মুঠ ধুলা সাপ বা কুকুরের দিকে ছুড়ে মারলে উহারা কিছুতেই দেখতে ও কামড়াতে পারবে না।
اِنَّهُمْ يَكِيْدُوْنَ كَيْدًا- وَاَكِيْدُ كَيْدًا- فَمَهِّلِ الْكَافِرِيْنَ اَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًا-
উচ্চারণঃ ইন্নাহুম ইয়াকিদুনা কাইদান। ওয়া আকীদু কাইদান। ফামাহহিলিল কাফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা।
ঘর থেকে অনিষ্টকর জীব-জন্তু দূর করার তদবীর
মুহররম মাসের ১ম তারিখ নিম্নের আয়াত ৩টি কাগজে লিখে পানিতে ধুয়ে সে পানি ঘরের আনাচে কানাচে ছিটিয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ সকল প্রকার ক্ষতিকর জীবজন্তুর হাত থেকে রেহাই পাবে।
أَفَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرَىٰ أَن يَأْتِيَهُم بَأْسُنَا بَيَاتًا وَهُمْ نَائِمُونَ – أَوَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرَىٰ أَن يَأْتِيَهُم بَأْسُنَا ضُحًى وَهُمْ يَلْعَبُونَ – أَفَأَمِنُوا مَكْرَ اللَّهِ ۚ فَلَا يَأْمَنُ مَكْرَ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْخَاسِرُونَ-
ঘর থেকে সাপ বের করার তদবীর
নিম্নের তাবিজটি লিখে ঘরের চার কোণে লোহার মাদুলিতে ভরে পুঁতে রাখবে, তাহলে ঘর হতে সাপ বের হয়ে যাবে। আর কখনো ঢুকবে না।
٦١١ ١١ ٨١ ١٧ رح ٧٥٥ ١١ ١١٥ ١١٥ ١١٠ وو ٥١برو |
||
|
١١ ١١١ ح ط |
|
Leave a Reply